খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে। নির্বাসিত গণতন্ত্র আদায়ে নির্দিধায় অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছে অসংখ্য নেতা-কর্মী। ৮০’র দশকে ৯ বছরের সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজপথে আপসহীন ভূমিকা ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। তার সেই অগ্রণী ভূমিকার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বন্যায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তর এঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মহাফিল পুর্ব আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতন্ত্রের অনন্য প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিএনপির বলিষ্ঠ ভূমিকা জনগণের কাছে সবসময় সমাদৃত হয়েছে। গণতন্ত্র সমুন্নত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিএনপির উদ্যোগ ও উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে দলটি দেশবাসীর কাছে এখন সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈদিক দল। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের নিবেদন করে বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, নিকট অতীতে স্বৈরাচার ছিল দৃশ্যমান গণ-নিপিড়নকারী। এখন স্বৈরাচারের দোসররা অদৃশ্য শক্তিরূপে জনতার বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যমান প্রতিপক্ষের চাইতে অদৃশ্য শত্রু অনেক বেশি ভয়ংকর। দৃশ্যমান প্রতিপক্ষকে আমরা চিনি। তাদের আক্রমণের ধরনও আমাদের পরিচিত। কিন্তু অদৃশ্য শত্রুরা অচেনা। সর্বত্র তাদের অবস্থান অন্ধকারে আর তাদের কৌশলও চোরাগোপ্তা। অদৃশ্য শত্রুর সম্পর্কে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফকরুল আলম, স. ম আ. রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া,মো: মারুফ হোসেন, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ার, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, কে এম হুমায়ূন কবির (ভিপি হুমায়ূন), হাফিজুর রহমান মনি, মোঃ মুরশিদ কামাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, আ. রাজ্জাক, সাহিনুল ইসলাম পাখি, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, একরামুল কবীর মিল্টন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, নাসির খান, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, শেখ ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, ওয়ার্ড বিএনপির মাহবুবউল্লাহ শামীম, আবু সাঈদ শেখ, শেখ আরসাদ আলী, আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজুল ইসলাম লিটন, মোঃ শহীদ খান, আসাদুজ্জামান মিঠু ,সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, আব্দুল ওহাব, মোঃ শাহ্ জালাল, যুব নেতা কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, জাসাস নেতা নুর ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, ছাত্র নেতা ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শফিকুল ইসলাম শাহিন, মুনতাসির আল মামুন, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ,আলমগীর হোসেন তালুকদার, মহিলা দলের আনজিরা খাতুন, এ্যাড. হালিমা আক্তার খানম, নিঘাত সীমা, সালমা বেগম, শিরিন আক্তার, মঞ্জুয়ারা বেগম, রোকেয়া ফারুক, চমন আরা, কাওছারী জাহান মঞ্জু, মরিয়াম খাতুন মুন্নি, আরিফা চুমকি, লুবনা ইয়াসমিন বিউটি প্রমুখ। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আবু নাঈম।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর