প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১২:১০ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. আহনাফ আবির আশরাফের ভাঙা ঘরে ২৪ বছর পর বিদ্যুতের আলো জ্বলেছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামের মো.হারুন অর রশিদের ছেলে আশরাফ। চার ভাই বোনের মধ্য এক মাত্র ভাই আশরাফ। তিনি বাইপাল আশুলিয়াতে আল মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইনভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন। ৫ আগস্ট আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন তিনি।
স্থানীয় আ. রহমান ও রউফ বলেন, আশরাফুল খুব ভদ্র ছেলে ছিল। সে পড়াশোনার পাশাপশি আয় রোজগারের পেছনেও ছুটত। তার এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।
নিহত আশরাফের ছোট বোন তাসফিয়া জান্নাত সাফী বলেন, আমার ভাইয়ের নিহতের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাভার পাইপাল গ্রুপে দেওয়া হয়। সেই গ্রুপে ভাইয়ের সহপাঠীরা দেখে তারা তাদের ইনভার্সিটিতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা জানাজা পড়ে আমাদেরকে ৬ আগস্ট ভাইয়ের নিথর দেহ হস্তান্তর করে। ৬ আগস্ট বাড়িতে এনে বারপাখিয়া কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
মা আছিয়া বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলে আশরাফ আন্দোলনে নিহত হয়েছে। আমার স্বামী বেঁচে থাকলেও যোগাযোগ করে না। আমার চার সন্তানকে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে থেকেছি। স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে দুঃখ দুর্দশা ঘোচাবে। তা আর হলো না।
তিনি বলেন, আমি এই বাড়িতে ২৪টি বছর অন্ধকারে কাটিয়েছি। কোনো বিদ্যুৎ ছিল না। আজ আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম তাৎক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এ ছাড়াও আমার ভাঙা ঘর সংস্কার করে দেবে। জেলা প্রশাসক আমার সব দায় দায়িত্ব নিয়েছে। আমার ছেলে এগুলো দেখে যেতে পারল না। আজ আমার ভাঙা ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। আর আমার ছেলে অন্ধকার কবরে শুয়ে আছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, আমরা আশরাফের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার মাকে তাৎক্ষণিক সহায়তা করা হয়েছে। এ ছাড়াও তার যে ভাঙা ঘর রয়েছে সেই ঘর মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। তার বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না, সেটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর