প্রকাশ: সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৫:০০ পিএম
সুশৃঙ্খল কক্সবাজারকে উশৃংখল করা এবং দীর্ঘদিন চলে আসা সুসংহত ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে অবৈধ মিশুক ও লাইসেন্সবিহীন টমটম গাড়ি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে বিক্ষুদ্ধ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সোমবার ১৯ আগস্ট জেলা প্রশাসকের সাথে টমটম গাড়ি, লাইসেন্স এবং গ্যারেজ মালিক সমিতির পক্ষে স্মারকলিপি প্রদানকালে বলা হয়, অবৈধ মিশুক ও লাইসেন্সবিহীন টমটম মালিক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন জরীফ আলী নামক একজন ব্যক্তি। তিনি ২০১৮ সালে পৌরসভার টমটমের লাইসেন্স জালিয়াতি করেন। তিনি যদি কক্সবাজারের সৌন্দর্য বর্ধনে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন চান তাহলে কোন যুক্তিতে মিশুক গাড়ির আরাফ মোটরস নামে শো-রুম দিয়েছেন। তাহলে মিশুক গাড়িকে বৈধ করায় কি তার লক্ষ্য। জরীফ কোন জনপ্রতিনিধি বা অন্য কোন অফিসিয়াল ব্যক্তি না হওয়া সত্বেও কিভাবে এতো বছর ধরে চলে আসা টমটমের লাইসেন্সের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন৷ পৌরসভা কর্তৃক দেওয়া টমটমের লাইসেন্স কোন ব্যক্তিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে দেওয়া হয়নি। এটা ইলেকট্রিক/ব্যাটারি চালিত তিন চাকার যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য বলে দেওয়া হয়েছে। যা কক্সবাজারে টমটম হিসেবে চালিত। যদি ব্যক্তি মালিকানা ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে থাকতো এবং তা যদি অন্য কোন ২য় ব্যক্তি ও চালককে গাড়ি চালানোর জন্য দেওয়া হতো তা অবৈধ বলে গন্য হতো।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, টমটমের লাইসেন্স গুলো পৌরসভা সরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ইস্যু করেছে। এই ইস্যুকৃত লাইসেন্সের মধ্যে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং সমাজের অবহেলিত মানুষের নামে নিজস্ব লাইসেন্স হিসেবে আছে। এদের অনেকে চালনায় অপারগ হলে বিভিন্ন গ্যারেজের মাধ্যমে চালকদের সাথে সমঝোতায় উক্ত লাইসেন্স সহ গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন এই অসাধু মিশুক গাড়ির সিন্ডিকেট বলছে বিধবা, প্রতিবন্ধী এবং বয়োবৃদ্ধদেরকে যার যার টমটম নিয়ে রাস্তায় নামতো।
অবৈধ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বদানকারী জরীফ আলী সহ কতিপয় ব্যক্তি ১৮ আগস্ট ডিসি অফিসে যে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে তার সাথে যে সমস্ত লোকজন জমায়েত হয়েছে তার বেশিরভাগই অবৈধ মিশুক, অটোরিক্সা চালক ও রোহিঙ্গা। সেই সাথে এই লাইসেন্স জালিয়াতকারী জরীফ আলী তাদেরকে মিশুক ও অটোরিক্সা এবং টমটম গাড়ির লাইসেন্স দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কিছু সহজসরল ড্রাইভারকে ধোকায় ফেলছে। টমটম গাড়ি, লাইসেন্স এবং গ্যারেজ মালিক পরিবারকে রক্ষার আবেদন আজিজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শাহজাহান সহ অনেকের।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর