প্রকাশ: শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১:০৭ পিএম
আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন হলো মানুষ পোড়ানোর, ক্ষতি করার। বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থেকে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। আর ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ যখনই কাজ শুরু করে, বিএনপি তখনই বাধা সৃষ্টি করে।’
তারেক রহমানকে ‘লম্পট’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই লম্পটের কথা শুনে বিএনপি নেতারা কেন আগুন দেয়, মানুষ মারে। তাদের কী লাভ। শাস্তি তো এদের হবে। বিচারের মুখে পড়তে হবে। আর আল্লাহর কাছেও তাদের জবাব দিতে হবে। তবু এটা তারা কেন ঘটায়, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
বিএনপিকে খুনি এবং জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলন মানুষ পোড়ানো। মানুষের ক্ষতি করা। দেশের সম্পদ নষ্ট করা। এদের মধ্যে কোনো মানবতাবোধ নেই।’
সম্প্রতি ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে হত্যার নিন্দা জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘এই ঘটনা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতকে এখন আর মানুষ বিশ্বাস করে না। আর বিশ্বাস করে না বলেই তারা আন্দোলনে সফল হতে পারেনি এবং পারবেও না। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই।’
এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে জানিয়ে সবাইকে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিরে এই চক্রান্তের সমুচিত দেওয়া হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের ভোটে নির্বাচিত হন বলেই দেশের খেদমত করতে পারেন বলে জানান সরকারপ্রধান।
/এম/