আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদ ছেড়েছেন ৩০ জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তারা স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থী হতে এরই মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের সই সংগ্রহ করেছেন তারা।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার মধ্যে পদত্যাগের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পদত্যাগকারীদের বেশির ভাগ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তবে কয়েকজন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রামের পটিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা, সাতক্ষীরা সদর, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী তাঁরাও পদত্যাগ করেছেন।
রোববার গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে বিকল্প প্রার্থী রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যে আশাবাদী হয়ে পদত্যাগ করছেন উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
রাজবাড়ী-১ আসনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস। এ আসন থেকে ষষ্ঠবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার।
এবার প্রথম নৌকা প্রতীক পেয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। তিনি নির্বাচন করতে পদ ছেড়েছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, যশোর জেলা পরিষদের সদস্য আজিজুর ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এস এম আল মামুন, নেত্রকোনার দুর্গাপুরের জান্নাতুল ফেরদৌস, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের জাহিদুল ইসলাম।
/এম/