প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:০৯ পিএম

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দেওয়া হচ্ছে সংলাপে বসার জন্য, এমন একটি সংবাদ শুনা যাচ্ছিল। জামিন না হওয়ায় সংলাপের সম্ভাবনা এবং নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই প্রেক্ষাপটে কি হতে যাচ্ছে নির্বাচনী জোটের সমীকরণ, বিশেষ করে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সিট ভাগাভাগির বিষয়টি। বিশস্ত সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদেরের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েই নির্বাচনে যাচ্ছে।
এদিকে, আলোচিত তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম-এর সাথে নির্বাচনী আসন বন্টন নিয়ে আওয়ামী লীগের দরকষাকষি চলছে। বিএনএম এর সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ পর্দার আড়াল থেকে সামনে আসছেন শীঘ্রই।
এই দুটি দলের মধ্যে তৃণমূল বিএনপি আসন ভাগাভাগিতে এগিয়ে থাকবে বলে রাজনীতি বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছেন। পাশাপাশি অঘোষিতভাবে জামায়াতের বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বলে জানা যায়। তারা কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন, সেই জন্য অধিক সংখ্যক শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কৌশলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন, এমন প্রার্থীদের কৌশলে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
শেষ মুহূর্তে ইসলামী দলগুলোর বড় একটি অংশও নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, ইসলামী ফ্রন্ট ইতোমধ্যে তিনশ আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে ঠিক কতটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়, তবে আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক দল নির্বাচনে অংশ নেয়।
জিল্লুর রহমান: এডভাইজর, বিজনেস এন্ড নিউজ, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন