যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মূল অভিবাসন নীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এমন রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় বহাল থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ বিচারকের প্যানেল সর্বসম্মতভাবে উল্লিখিত এ রায় দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে রুয়ান্ডা অভিবাসন নীতি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এবং অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরিত করলে তারা বাস্তব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন-এ কথা বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে।
রায়ে বলা হয়, গত জুন মাসে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের সঙ্গে একমত হয়েছেন বিচারকরা। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের জোরপূর্বক এমন একটি দেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে, যেখানে তাঁরা নিপীড়নের শিকার হতে পারেন।
মানবপাচার, চোরাচালান নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া এবং ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল ঠেকানোর লক্ষ্যেই রুয়ান্ডা অভিবাসননীতিতে জোর দিয়ে আসছে সুনাকের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।
গত বছরের এপ্রিলে এক চুক্তির মাধ্যমে নথিপত্রবিহীন অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় বিভিন্ন হোটেলে স্থাপিত সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কারণে সরকারের এ পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হলো।
উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে ঋষি সুনাক বলেন, ‘আমরা এই ধরনের ফলাফল আশা করিনি।
সরকার এরই মধ্যে রুয়ান্ডার সঙ্গে একটি নতুন অগ্রিম চুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যা আমরা আজকের রায়ের আলোকে চূড়ান্ত করব।’
পার্লামেন্টে সুনাক বলেন, ‘যদি দেখা যায়, দেশের আইনি কাঠামো অথবা আন্তর্জাতিক আইনের কারণে এই পর্যায়ে এসে আমাদের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তাহলে আমি আইন পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
/এমএ/