প্রকাশ: সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:৪৮ AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (১৩ নভেম্বর) খুলনায় যাচ্ছেন। বিকালে তিনি খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন। তিনি সেখানে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মহাসমাবেশ ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা। এদিকে, কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা হয়েছে সমাবেশস্থলের আশপাশ।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম খুলনা সফর এটি। তার আগমন ঘিরে গোটা খুলনা মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরী। ইতোমধ্যে সার্কিট হাউজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ। রাতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা খুবই সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সার্কিট হাউসের মাঠের সভাস্থল ইতোমধ্যে কয়েকবার পরিদর্শ করা হয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা শেষ বারের মতো সভাস্থলে নির্মিত মঞ্চসহ সার্বিক বিষয়টি পরিদর্শন করেন।
তারা সাংবাদিকদের জানান, সার্কিট হাউসের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চান তারা। এজন্য বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে জনসভায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করার টার্গেট রয়েছে তাদের।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়নে এখন ধারাবাহিকভাবে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে, সেগুলো আগামীর খুলনাকে সমৃদ্ধ করবে। খুলনার ভৌগোলিক সম্ভাবনাকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারলে আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে খুলনা দক্ষিণাঞ্চলের রাজধানী হিসেবে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য নেতৃত্ব দেবে। ফলে ভাগ্য পরিবর্তন হবে খুলনা উপকূলের প্রায় ৪ কোটি মানুষের।’
/এম/