প্রকাশ: রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩, ২:২৪ পিএম আপডেট: ১২.১১.২০২৩ ২:২৮ PM
আকার-আকৃতিতে একই রকম হওয়ার কারণে শুক্রকে পৃথিবীর ‘যমজ গ্রহ’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দু’টি গ্রহের ভরও প্রায় এক। তবে, বায়ুমন্ডলের উপাদানের পরিমানের তারতম্যের কারণে শুক্রের পরিবেশ রুক্ষ এবং ঘন বায়ুমণ্ডলযুক্ত শুক্র মানুষের বাসযোগ্য নয় বলেই দাবি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সেই শুক্রেই এ বার পৃথিবীর প্রাণবায়ু অক্সিজেনের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা!
তবে কি শুক্রে হতে যাচ্ছে মানুষের বসবাস স্থল?
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের তথ্যমতে, নাসা এবং জার্মান এরোস্পেস সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে শুক্রের বায়ুমণ্ডলীয় গঠন বোঝার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছিল। যেখানে তারা ‘সোফিয়া’ নামক একটি বোয়িং ৭৪৭ এসপি বিমানের মধ্যে থাকা একটি ইনফ্রারেড টেলিস্কোপের সাহায্যে পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ শুক্রের বায়ুমণ্ডলে পারমাণবিক অক্সিজেন শনাক্ত করেছেন বলে জানান।
এত দিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, শুক্রের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের একটি কণা পর্যন্ত নেই। তাই এই নতুন আবিষ্কারকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ২১ শতাংশ অক্সিজেন দিয়ে তৈরি হলেও, শুক্রের বায়ুমণ্ডলের মধ্যে রয়েছে খুব স্বল্প পরিমাণ অক্সিজেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, শুক্রের একটি ঘন এবং ক্ষতিকারক বায়ুমণ্ডল রয়েছে, যা ৯৬.৫ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে ঘেরা। প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড এবং স্বল্পমাত্রার অক্সিজেন ছাড়াও নাইট্রোজেন এবং অন্যান্য কয়েকটি গ্যাস অল্পমাত্রায় শুক্রের বায়ুমণ্ডলে রয়েছে।
জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের পদার্থবিদ তথা গবেষক হেইঞ্জ-উইলহেলম হ্যাবার্স এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল খুব ঘন। গঠনও পৃথিবীর থেকে অনেক আলাদা। শুক্র বাসযোগ্য নয়। অন্তত মানুষের জন্য নয়।’’ এর কারণ, পৃথিবীর অক্সিজেন শ্বাসযোগ্য হলেও, শুক্রের সেই অক্সিজেন শ্বাস নেওয়ার যোগ্য নয়।
/এমএ/