মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩
ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
স্বদেশ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:৪৬ পিএম
ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান

ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান

দেশের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাদের সত্য তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে ভুল তথ্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করতে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাদের দেশের অর্জনগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার নিউইয়র্কের কুইন্সের সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ থ্রু ইউএন পিসকিপিং অ্যান্ড এনআরবি’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বাণিজ্য ও অভিন্ন মূল্যবোধ উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শক্তিশালী সম্পর্কের ওপর জোর দেন।

তিনি প্রবাসীদের দেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে এবং উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে উৎসাহিত করেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশে সহনশীলতার কথা তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তা (সহনশীলতা) প্রকাশ পায়; সেসময় জাতিগত নিপীড়ন, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশবাসী দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।’

তিনি দুর্ভিক্ষ ও জলবায়ু বিপর্যয়সহ স্বাধীনতার পরের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করেছেন, যার ফলে পশ্চিমারা বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে অভিহিত করেছিল।

মোমেন বলেন, তবে কয়েক বছর ধরে, বাংলাদেশ একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে বিকশিত হয়েছে। রপ্তানি ও জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি এর সাক্ষী। এটি এখন বিশ্বব্যাপী ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে দাঁড়িয়েছে, উল্লেখযোগ্যভাবে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে এবং বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উন্নতি করেছে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এখন গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সময়কালে বাংলাদেশকে ‘উগ্রবাদ, জিহাদি ও সন্ত্রাসের ঘাঁটি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সুখবর হলো এখন আর সেদিন নেই।

তিনি বলেন, জাতির পিতার জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন করা হয়। যা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং নজিরবিহীন আইনি দায়মুক্তি দেয়।

ড. মোমেন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘তার নির্দেশনায় বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচক, জলবায়ু কূটনীতি এবং মানবিক প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।’

ড. মোমেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।

তিনি ১২ মিলিয়ন বাংলাদেশি প্রবাসীর অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। যারা রেমিট্যান্স এবং বিভিন্ন খাতে অবদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে সমর্থন করে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এস শেকিল চৌধুরী, ইউএস অ্যাম্বাসেডর অব পিস, ইউএন অ্যান্ড এক্সপার্ট ডব্লিউএইচও ড. সিমা কারেতনয়া, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






● সর্বশেষ সংবাদ  
● সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
অনুসরণ করুন
     
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : লুৎফর রহমান হিমেল
প্রকাশক: স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড-এর পক্ষে মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক আবরন প্রিন্টার্স,
মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24[at]gmail.com, info[at]swadeshpratidin.com
● স্বদেশ প্রতিদিন   ● বিজ্ঞাপন   ● সার্কুলেশন   ● শর্তাবলি ও নীতিমালা   ● গোপনীয়তা নীতি   ● যোগাযোগ
🔝