মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০ আশ্বিন ১৪৩০

ভৈরবে আমনের চারা রোপণে বিপাকে কৃষক
জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব:
প্রকাশ: সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ভৈরবে আমনের চারা রোপণে বিপাকে কৃষক

ভৈরবে আমনের চারা রোপণে বিপাকে কৃষক

ভরা মৌসুমেও কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তীব্র দাবদাহ আর অনাবৃষ্টিতে আমন ধানের চারা রোপণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টি না থাকায় পানির অভাব পূরণে বিকল্প উপায়ে জমিতে পানি দিয়ে চারা রোপণের উপযোগী করছেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের কৃষকরা।

কৃষকরা এখন রোপা আমন ধানের জমি তৈরি ও চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আমন চাষকে ঘিরে কৃষকরা মেতে উঠেছে অঅনন্দ উৎসবে। তীব্র দাবদাহ আর অনাবৃষ্টিতেও বিকল্প ব্যবস্থায় আমনের চারা রোপণ করে যাচ্ছেন অত্র অঞ্চলের কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাদেকপুর, রসুলপুর, মেন্দিপুর, গজারিয়া, মানিকদি, তেয়ারিচর, ভবানীপুর, শ্রীনগর, কালিকাপ্রসাদ এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করে যাচ্ছেন। কৃষকদের কেউ জমির আইল ঠিক করছেন, কেউবা জমিতে মই দিচ্ছেন। আবার কেউ মাঠের অসমতল জমিতে কোদাল চালিয়ে সমতল করছেন। যে সকল কৃষকদের চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত তাদের অনেকেই বীজতলা থেকে ধানের চারা তোলছেন। যারা একটু আগে ভাগে চারা রোপণ করতে পেরেছেন তাদের অনেকেই জমিতে জৈব সার দিচ্ছেন। 

উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, বাড়তি ফসল হিসেবে প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ৮ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করেছি। বৃষ্টি কম হওয়ায় জমিতে এখন সেচ দিয়ে পানি দিতে হচ্ছে।

সাদেকপুর ইউনিয়নের কৃষক রাহিম ভূঁইয়া বলেন, এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছি। আমাদের এলাকার জমিগুলোতে বছরে দুই ধরনের ফসল আবাদ হয়ে থাকে। আমরা বর্ষার শেষে পানি চলে যাওয়ার পর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করি। পরবর্তীতে একই জমিতে বোরো ধান চাষ করা হবে। এটিই আমাদের মূল ধান চাষ। 

কৃষক মো: রহমতুল্লাহ মিয়া বলেন, এ অঞ্চলে সাধারণ বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। বর্ষার পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে গেলে স্যাৎ স্যাতে জমিতে রোপা আমনের চাষ করি। এই ফসলটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি ফসল। এ ফসল বিক্রি করে ভাল একটা টাকা রোজি হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম “দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন”কে বলেন, মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি অফিসাররা রোপা আমন ধান চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করছি এবছর আমনের বাম্পার ফলন হবে যা লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা রয়েছে ২ হাজার ২৮৫ হেক্টর। লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৩৭০ হেক্টর। রোপা আমন ধান চাষের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ৫৫০ জন কৃষকদের মাঝে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী
প্রকাশক: স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড-এর পক্ষে মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক আবরন প্রিন্টার্স,
মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24@gmail.com, info@swadeshpratidin.com
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী
প্রকাশক: স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড-এর পক্ষে মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক আবরন প্রিন্টার্স,
মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।