ঢাকার নবাবগঞ্জে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর প্রতি অবহেলার অভিযোগ নিত্যদিনের। এ অবস্থা চরম আকার ধারণ করে যখন রোগী মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চঞ্চলা রাণী (৫৫) নামে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসকদের অবহেলায় সে মারা গেছেন। মৃত চঞ্চলা উপজেলার চুড়াইন গ্রামের সুকুমার শীলের স্ত্রী।
মৃত চঞ্চলার ছেলে সুকন্ঠ শীল বলেন, তার মা চঞ্চলা রাণীর ডায়রিয়া হতে পারে এমনটা ভেবে শুক্রবার রাতে তারা চঞ্চলাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় তার মা প্রচণ্ড পেট ব্যথায় ভুগছিলেন। বাড়িতে পেট ব্যথা অবস্থায় অসংখ্যবার বাথরুমে যায়। তার মাকে ভর্তি করার পর এসময় দায়িত্বরত নার্সরা তাদের কাছে স্যালাইন ও ক্যানোলা বাবদ টাকা দাবি করেন এমন অভিযোগ করেন তিনি।
আরো বলেন, রাতে হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার সাথে অনেক দুর্ব্যবহার করেন। তার মার স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হলে এসময় চিকিৎসক ও নার্সদের জানালেও তারা রোগীর কাছে না এসে মোবাইলে ফেইসবুক চালাচ্ছিলো। শনিবার সকালেও তা ও মার বিষয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাদের অবহেলার কারনে আমার মার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সামছুল হক খানসহ কর্তব্যরত নার্সদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
রোগী মৃত্যুর বিষয় হাসপাতালে কর্মরত একাধিক নার্সরা জানায়, তারা কোন টাকা দাবি করেননি। হাসপাতালে স্যালাইনের সরবরাহ না থাকায় দায়িত্বরত চিকিৎসক বাহিরে থেকে স্যালাইন আনতে বলে ছিলো। তাই আমরা রোগীর স্বজনদের স্যালাইনের দাম জানিয়েছি।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, রোগীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসপাতাল ভাংচুর ও চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করতে না পাড়ে আবেগতাড়িত স্বজনরা নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, রোগীর মৃত্যুও বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। এ বিষয়ে ডাঃ মুহাম্মদ ইফতেখার হোসেনকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃত রোগী সম্ভব্য ডেংগুতে আক্রন্ত হয়েছিলো। দায়িত্বে অবহেলা করা হলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।