পুকুরে মিলল নিখোঁজ শিশুর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা
অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:২৭ পিএম
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৬ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, শিশুটির শরীরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর ওই শিশুর বাড়ির পাশের পুকুরেই ফেলে দেওয়া হয় তার মরদেহ। গতকাল সোমবার উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ওই শিশুর নাম জান্নাতি খাতুন। সে ওই এলাকার স্বপ্না খাতুন ও খোকন ভূইয়া দম্পতির একমাত্র মেয়ে। শৈলকূপা থনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেন।
আমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় জান্নাতি খাতুন। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গ্রামের প্রায় সবখানে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ৯ টার দিকে হঠাৎ বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় তার হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তাকে অন্য কোথায় হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় ওই শিশুর মা স্বপ্না খাতুন। সন্তানের মরদেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। অন্যদিকে মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা খোকন ভূইয়া।
খোকন ভূঁইয়া বলেন, জান্নাতি সোমবার ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। বাড়ি ফিরে সে রাস্তার ধারে একটি দোকানে শনপাপড়ি কিনতে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে শৈলকূপা থানায় একটি জিডি করি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে জান্নাতির মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের ডান হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর রাতের যেকোনো সময় তাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।