‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রাষ্ট্রের পবিত্র পোষাক পড়ে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে আমি বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিমুক্ত লাল সবুজের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি আরো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, জনগনের দোড় গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আমি প্রস্তত। সেবাই পুলিশের ধর্ম। পুলিশের কাজ এক কথায় বুঝাতে গেলে তাই বলা হয়। কিন্তু আইন ও বিধিমালা দ্বারা পরিচালিত নিয়ন্ত্রিত পুলিশের কাজ মূলতঃ অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা।
বস্তত: আইনের আওতায় প্রদত্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে তা জনগনের সেবা করা হয়। অর্থাৎ পুলিশের কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জনসম্পৃক্ততা। জনগণ ও পুলিশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে একটি টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই নিরাপদ বরগুনা জেলা বাস্তবায়নে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জনগনের অংশ গ্রহন যেমন দরকার তেমনি দরকার গনমাধ্যমের সহযোগীতা। পুলিশের সেবাকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করে জনগনের নিকট সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”একান্ত আলাপচারিতায় দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন কাগজে এমনটিই বলেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম। বরগুনা জেলার প্রতিটি মানুষের মনে পুলিশ কতটুকু জায়গা করে নিতে পেরেছে তা তুলে ধরেছেন প্রতিবেদক মিরাজ খান।
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে গড়ে ওঠা উপকলীয় জেলা বরগুনা। নানা কারনে সারা বাংলাদেশব্যাপী বহুল আলোচিত এ জেলা শহরটি। মৎস্য আহরণ, প্রক্রিয়াজাত করণ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, অলি-আউলিয়া, সাধু-সন্ন্যাসী, রাজনীতিবিদসহ বহু উল্লেখযোগ্য জ্ঞান তাপস ব্যক্তির জন্মস্থান হিসেবে সুনাম রয়েছে এজেলার।
সেই সুখ্যাতির রাজতিলকে কতিপয় রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী অপরাধ মনস্ক ব্যক্তি কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টায় পূর্বে লিপ্ত থাকলেও বরগুনার বর্তমান জনবান্ধব পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম এর সাহসিকতা, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, মেধা ও সর্বোপরি অপরাধ দমনে সর্বাধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগের প্রেক্ষিতে তাদের সেই অপচেষ্টা আজ বানের জলের মতো বঙ্গোপসাগরের পানিতে পতিত হয়েছে।
বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম দায়িত্ব গ্রহনের পর নিজ কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বরগুনা জেলা থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হ্রাসকল্পে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করেন। প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছেন। সম্প্রতি বরগুনার আলোচিত কয়েকটি ঘটনায় মাঠ পর্যায়ে নিজেই তদন্ত করে জনমনে যায়গা করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, জনবান্ধব পুলিশ প্রশাসন গঠন ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বরগুনা জেলাকে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
সন্ত্রাস ও মাদক এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে বরগুনাবাসীর নয়নমণিতে পরিণত হয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রের জনগণের জানমালের হেফাজত, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনবান্ধব পুলিশ প্রশাসন গড়ে তুলে জনগণের সাথে রচনার মাধ্যমে কার্যকর পুলিশ প্রশাসন গড়ে তুলে জনগণকে রাষ্ট্র প্রদত্ত সেবা প্রদান করে জনগণের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেওয়ার মাঝেই রয়েছে একজন চৌকস, দক্ষ ও অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মকর্তার সফলতা। সে দুরহ কাজটি অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে সক্ষম হয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার। স্বমহিমায় নিজে যেমন ভাস্বর হয়েছেন ঠিক তেমনি ভাস্বরিত করেছেন বরগুনাবাসীকে।
গত (২৪ আগস্ট ২০২২) দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সাফল্য ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্র অর্পিত যে কোন কাজ সুনিপুন ও দক্ষতার সাথে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরগুনার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কার্যকর বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সমৃদ্ধ ঐতিহ্যে ভাস্বরিত হোক পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম পারিবারিক, ব্যক্তি জীবন ও কর্মজীবন। বরিশালের মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। ২৫ তম (বিসিএস) ব্যাচের সদস্য তিনি।