দাগনভুইয়া ইসহাকিয়া এতিমখানা সুপারের পদে রাজাকার, অনিয়মের অভিযোগ
ফেনী প্রতিনিধি
|
দাগনভুইয়া ইসহাকিয়া এতিমখানা সুপারের পদে রাজাকার, অনিয়মের অভিযোগ এতিম খানার সুপার মাওলানা নুরুল আমিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি কোম্পানিগন্জের চৌধুরীহাট ক্যাম্প থেকে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতার হন। পরে নোয়াখালী, মাইজদিকোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন। প্রায় একবছরের অধিক সময়ে কারাবরণ করেন। পরে জামিনে আসেন বলে তার স্বজনরা জানান। তিনি সাবেক সেক্রেটারি মরহুম সাদেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুর রহমানের সময়ে মাস্টার নজির আহমেদকে মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে এতিমের প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। পরে ইউএনও কর্তৃক ভৎসনা ও তিরস্কৃত হন। তিনি একজন রাজাকার হয়ে কিভাবে এতিমখানা ও মাদ্রাসায় পদ পদবি পেয়েছেন, স্বাধীন চেতনাগামি লোকজনের কাছে প্রশ্ন থেকে যায়। মাওলানা নুরুল আমিনের কামেল পাশ সাটিফিকেট নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তিনি নোয়াখালী থেকে জনৈক আব্দুর রবকে দিয়ে পক্সি পরীক্ষা দিয়ে কামেল পাশ সাটিফিকেট অর্জন করেছেন। সেটা নিয়ে মামলা মোকর্দমা গড়িয়েছে। তিনি কমিটি গঠন নিয়ে নানা কারিশমা করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন। পারিবারিক ভাবে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে থানা পুলিশ কোর্ট কাচারি করে বেশ সমালোচিত হচ্ছেন এ সুপার। এবিষয়ে সুপার নুরুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ছাত্র সংঘের সাথে জড়িত ছিলেন।অর্থাৎ, জামায়াত পন্থি রাজকার ছিলেন। সেসময় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন বলে স্বীকার করেন। নারি কেলেঙ্কারির ঘটনায় বহিস্কৃত ইউসুফ হুজুরের সাময়িক বরখাস্ত বলে জানান। এতিমের মাংস বিয়েতে দেয়ার ঘটনায় জানাজানি হলে পরে টাকা নিয়েছেন বলে নুরুল আমিন বলেন। সাটিফিকেটের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, এখন আমি অবসরে যদিও শুধুমাত্র এতিমখানার দায়িত্বে আছি, এটা দিয়ে এখন কি হবে? তাহলে তিনি সরকারি বেতন ভাতা কি অবৈধ সাটিফিকেট দিয়ে উত্তোলন করেছেন। এবিষয়ে খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি শেষ বয়সে বিতর্কের জড় তুলেছেন মানুষের মাঝে। এতিমখানার দায়িত্বে থাকার যোগ্যতা হারাচ্ছেন। এনিয়ে কথা হয়েছে এতিমখানার সহ সম্পাদক মোঃ শরিফের সাথে। রাজাকারের ভুমিকা, জেল খাটা ও ইউসুফ হুজুরের সাময়িক বরখাস্ত নিয়ে স্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে অনেক কিছু বলা মুশকিল। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও তদন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সুশীল সমাজ দাবি করেন। স্বদেশপ্রতিদিন/ইমরান
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |