জলপাই আমেজে মুখরিত তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস
তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি
|
![]() জলপাই আমেজে মুখরিত তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস গাছ ঠাঁসা এই ফলের মিষ্টি সুবাসে পাগল পারা পাখি আর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী উভয়ই। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজ্যের সব জলপাই যেন জড়ো হয়েছে কলেজ অডিটোরিয়ামের গা ঘেঁষে। গাছের বিস্তৃতির কারণে ডালের যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই জলপাইয়ের সমারোহ। সবুজ পাতার ভিড়ে লুকোচুরি খেলা জলপাইয়ের টানে ভিড় করছে শত শিক্ষার্থী। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা চোখ বুলিয়ে যাচ্ছে জলপাইয়ের থোকায় থোকায় আর মনে সৃষ্টি হচ্ছে বাসনা। বাজার থেকে কেনা জলপাইয়ের চেয়ে নিজ ক্যাম্পাসের গাছ থেকে জলপাই পেরে লবণ মরিচ মাখিয়ে জলপাই খাওয়ার স্বাদ যেন অন্য সকল স্বাদকে হার মানায়। সমাজকর্ম বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তন্নি আক্তার বলেন, টক ফল খেতে কার না ভালো লাগে! সেটা যদি হয় জলপাই তাহলে জিভে জল চলে আসে। আর নিজেদের ক্যাম্পাসের গাছের হলে তো কোন কথাই নেই। এ সময়ে জলপাই বাজারের অলিতে-গলিতেও কিনতে পাওয়া গেলেও নিজ ক্যাম্পাসের গাছের জলপাইয়ের ভাগ ছাড়তে যেন সবাই নারাজ। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী জানান, নিজ ক্যাম্পাসের গাছের ফলতো খাওয়াই যায়। তবে কোন ক্ষতি করে নয়। অনেকেই দেখি গাছে ঢিল ছুড়ে , ডাল-পালা ভেঙে ফল খায়। কেউ কেউ তো অপরিপক্ব ফল পেরে নষ্ট করে যেটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। তবে ধীরে ধীরে এর পরিবর্তন আসছে। বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা পরিবেশের জন্য গাছের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করছে। তারা বলেন, গাছ থাকলেইতো ফল পাবো আর যদি গাছ-ই না থাকে ফল আসবে কোথা থেকে। তাই আমরা নিজ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে গাছের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকি এবং অপরিপক্ব ফল পারাকেও প্রাধান্য দেই না। পাশাপাশি আমাদের সহপাঠিদেরকেও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে গাছ ও অপরিপক্ব ফল রক্ষা করার জন্য উৎসাহ যুগিয়ে চলেছি। এছাড়াও কলেজ ক্যাম্পাসের কিছু সংগঠন ও শিক্ষক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অবহিত করছেন। স্বদেশপ্রতিদিন/ইমরান
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |