চবি’র পক্ষ থেকে একুশে পদকে ভূষিত দৈনিক আজাদী সম্পাদককে সংবর্ধনা দিল চবি
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,চট্টগ্রাম
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২, ৯:৩০ পিএম
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক একুশে পদকে ভূষিত হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন ২০২২) চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় এতে উপ-উপাচার্য ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া এবং এম এ মালেকের সুযোগ্য পুত্রদ্বয় ওয়াহেদ মালেক ও শিহাব মালেক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির ঐচ্ছিক তহবিল হতে মঞ্জুরীকৃত আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক, দৈনিক আজাদী বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
উপাচার্য দৈনিক আজাদী সম্পাদক একুশে পদকে ভূষিত হওয়ায় তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান। একইসাথে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, একুশে পদকে ভূষিত এ প্রথিতযশা বরেণ্য সাংবাদিককে সংবর্ধনা প্রদান করতে পেরে চবি পরিবার আনন্দিত ও গর্বিত। তাঁর বক্তব্যে তিনি দৈনিক আজাদীর কর্ণধার জনাব এম এ মালেককে একজন সজ্জ্বন ব্যক্তি, উদারমনা, দানশীল ও সমাজসেবক বলে উল্লেখ করেন। এম. এ. মালেক ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, কর্মস্পৃহা, উদ্যম, আগ্রহ সর্বোপরি নিরলস পরিশ্রমের ফলে তিনি একজন সফল মানুষ। এ সফল মানুষের কর্মস্পৃহা সমাজের অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদী আঞ্চলিক পত্রিকা হলেও বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এটি সাধারণ জনগণের মুখপাত্র হিসেবে আজও সমাদৃত। উপাচার্য বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক তুলে দেন। উপাচার্য সংবর্ধিত অতিথিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
সংবর্ধিত অতিথি এম এ মালেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করায় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং একইসাথে নিজেকে গৌরবান্বিত বোধ করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতাত্তোর প্রথম পত্রিকা হিসেবে দীর্ঘ ৬২ বছর যাবৎ এ পত্রিকাটি গণমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পুরস্কার পাবার আশায় তিনি কখনও কাজ করেননি; নিজের দায়বদ্ধতা থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তিনি সবসময় মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন। দৈনিক আজাদী’র পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যে বৃত্তি চালু আছে ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যও এর কলেবর বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চবি বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।