মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করণ ও কর্মী প্রেরণ শুরু প্রসঙ্গে
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করণ ও কর্মী প্রেরণ শুরু প্রসঙ্গে ১. মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি বাংলাদেশের জন্য অতীব সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার। দেশের স্বার্থে এই শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত করণ এবং কর্মী প্রেরণ শুরু করা আমাদের প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে সীমিত সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে, নাকি সকল এজেন্সির মাধ্যমে বাজার উন্মুক্ত হবে সেটা মূখ্য বিবেচ্য বিষয় নয়। অভিবাসী কর্মীদের জন্য বাজার উন্মুক্ত হওয়া সবচেয়ে জরুরী। ২. এদেশের বেকার সমস্যা সমাধান, অভিবাসন কর্মীদের স্বার্থ এবং সর্বোপরি দেশের কল্যাণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করণে আপনাদের অবদান রাখা উচিত। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমবে এবং রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে সরাসরি অবদান রাখবে। ৩. বিগত ২০১৭-২০১৮ সালের মতো এবারও মালয়েশিয়ার সরকার কর্মী নিয়োগের সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি অনলাইন ভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধায় কর্মী প্রেরণে কোন প্রকার বিলম্ব হবে না। অত্যান্ত স্বচ্ছ সহজ পদ্ধতিতে ও স্বল্প সময়ে কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব হবে। ৪. মালয়েশিয়ায় কর্মীদের বেতন মধ্যপ্রাচ্যসহ আরো অনেক দেশের তুলনায় উল্লেখ যোগ্য ভাবে অনেক বেশি। কোনভাবেই উচ্চ বেতনের শ্রমবাজারটি হাত ছাড়া করা ঠিক হবে না। এ সকল বিষয় বিবেচনায় এনে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে আরো অধিক সহযোগীতা করা প্রয়োজন, যাতে তারা বাংলাদেশ হতে কর্মী নেওয়া বন্ধ না করেন। ৫. সম্মানিত কিছু সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির সদস্য যারা কখনো মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করেননি, মালয়েশিয়া ব্যবসা সম্পর্কে ধারণাও নেই, তারা বুঝে না বুঝে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব/প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বাজারটির মারাত্মক ক্ষতি করছেন। দেশের স্বার্থে এবং অভিবাসী কর্মীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তাদের এসকল অযৌক্তিক হিংসাত্মক কর্মকান্ড পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ৬. আমাদের সরকারের আমন্ত্রণ ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে আগামী ১ জুন, ২০২২ মালয়েশিয়া মানব সম্পদ মন্ত্রী মহোদয় দাতুক সেরি সারাভানান ও তার প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় আগমন করবেন। দুই দেশের সরকারী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার পর বিগত ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্বারকের ভিত্তিতে মিটিংয়ের পরই মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ঠিক একই সময়ে বায়রা’র কিছু সংখ্যক সদস্য রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটিকে বন্ধ রাখার হীন উদ্দেশ্যে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আগামী ৩১ মে, ২০২২ তারিখে এক মিটিং ডেকেছ। তথাকথিত সিন্ডিকেট বিরোধী ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচি মালয়েশিয়ার মাননীয় মন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণকে অসম্মান করে এবং মিডিয়ায় মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটিকে খোলার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করাই তাদের অপতৎপরতার মূখ্য উদ্দেশ্য। কেননা ইতোঃপূর্বে যখনই মালয়েশিয়ার কোন টীম শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে ঢাকায় আয়োজিত মিটিংয়ে অংশ গ্রহণের জন্য আগমন করেছে তখনই দেখা গেছে এই অশুভ চক্রটি মিটিং-মিছিল মানববন্ধন প্রভৃতি কর্মকান্ডের মাধ্যমে দুই সরকারের প্রচেষ্টা বানচাল করেছে। আসন্ন মিটিংটি তাদের ১৮তম অপ-প্রচেষ্টার অংশ বিশেষ। আমাদের স্বরণ করা উচিত যে, এই ধরনের মিটিং-মিছিল এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার অতিথিবর্গ সরকারী আমন্ত্রণে ঢাকায় আসার পর অসম্মান করলে শুধু মাত্র যে নতুন ভাবে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়া বন্ধ থাকবে তাই নয়, বরং ইতোঃমধ্যে যারা মালয়েশিয়ায় আছে তাদেরও ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন না হওয়ার সমূহ আশঙ্কা দেখা দিবে। ফলশ্রুতিতে অর্ধ মিলিয়ন বাংলাদেশী শ্রমিককেও দেশে ফিরে আসার মতো বিপদের সম্মুখিন হতে পারে যদি এই ধরনের কর্মসূচী বন্ধ না হয়। ৭. সুতরাং বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতে এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের সার্বিক স্বার্থে অবশ্যই আসন্ন ৩১ মে, ২০২২ তারিখে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিতব্য মিটিংটি বন্ধ করা অতীব জরুরী। অন্যথায় দেশের জন্য বিরাট ধরণের আর্থিক ক্ষতি ঘটাবে। স্বদেশপ্রতিদিন/ইমরান
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |