নদীভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছে কুড়িগ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। গত তিন মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের ভাঙন। তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ কুড়িগ্রামবাসী।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে; চলমান ভাঙনকবলিত স্থানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করতে হবে; রাস্তায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা দিতে হবে; নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি অধিগ্রহণ করে দ্রুত ভবন ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ওই এলাকায় এখন পর্যন্ত স্কুল, মসজিদ-মন্দিরসহ হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, রাস্তা ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার বলে মানববন্ধনে জানান বক্তারা।
তারা জানান, এসব পরিবারের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তা ও অন্যের জমিতে। গত দুই বছরে কুড়িগ্রাম জেলায় এ সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। শুধু রাজারহাটেই চলতি মৌসুমে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ১ হাজার ঘরবাড়ি। এসব নদীর কোথাও কোথাও ভাঙন রোধে দায়সারা কাজ করছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এক সময়ের ২ কিলোমিটারের তিস্তা এখন ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারে পরিণত হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেজর (অব.) আব্দুস সালাম, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রেজানুর রহমান, পরিবেশবিদ ও নদী গবেষক শেখ রোকন, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও বাপার নির্বাহী সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফরিদ প্রমুখ।
প্রকাশক: স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড-এর পক্ষে মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক আবরন প্রিন্টার্স, মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24@gmail.com, info@swadeshpratidin.com