করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রাণহানী এড়াতে ঈদ সামনে রেখে মানুষকে ঢাকা ছাড়তে নিরুৎসাহিত করা হলেও গতকাল ফেরিঘাটে দেখা গেছে ঘরেফেরা মানুষের ঢল। মানুষের ঢল ঠেকাতে ফেরি ঘাটে বিজিবি পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছে। দূরপাল্লার বাস বন্ধ, ফেরি বন্ধ; কিন্তু তারপরও নাড়ির টানে ঘরেফেরা মানুষকে ঠেকানো যাচ্ছে না, কোনো বাধাই টিকছে না মানুষের কাছে। সরকারের সব নির্দেশনা অমান্য করে মানুষ ছুটছে ঢাকা ছেড়ে। কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও। গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস রয়েছে। এতে মোট এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
ফেরি বন্ধ ও বিজিবি মোতায়েন করেও শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে বাড়িমুখোদের স্রোত ঠেকানো যায়নি। গতকাল রোববার সকাল থেকে দক্ষিণের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ ঘাটে আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভিড় আরও বাড়ে। মামুন নামে এক ব্যক্তি রওনা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা যাওয়ার উদ্দেশে। গুলিস্তান থেকে ভ্যানে করে আমিনবাজার এসেছেন। সেখানে তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। ফেরি বন্ধ, কিভাবে যাবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেরি না চললেও স্টিমার চলছে। ছোট ছোট লঞ্চ, ট্রলার আছে। ফেরি ছাড়া অন্য সব চলছে। অন্যান্য বছর ঈদের এই সময়টাতে গাবতলী থাকতো লোকে লোকারণ্য। গাবতলীতে এবার সে চিত্র নেই, কারণ বাস বন্ধ। তবে আমিন বাজার ব্রিজ পার হলেই দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। হাজার হাজার মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। সেখানে সহজেই মিলছে কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল।
গতকাল সকালে দেখা গেছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাস, কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চেপেই যাত্রীরা যাচ্ছেন আরিচা-পাটুরিয়া ঘাটের দিকে। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। অন্যদিকে বাসে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় যাত্রীদের গাবতলী থেকে হেঁটে আমিনবাজার গিয়ে ঘাটের গাড়ি ধরতে হয়।
এদিকে, গতকাল রোববার বেলা সোয়া ১১টা। বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছাল রো রো ফেরি শাহ্ পরান। ফেরিতে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আর তিনটি ছোট পিকআপ ভ্যান ছাড়া গিজগিজ করছে মানুষ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ঢাকা থেকে এভাবেই বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।
সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুটি ফেরি যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসে। ফেরি দুটিতে কমপক্ষে পাঁচ হাজার যাত্রী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর বাংলাবাজার ঘাট থেকেও যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে দুটি ফেরি ছাড়া হয়।
বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফেরি ছাড়া হচ্ছে না। যখনই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি ছাড়া হয়, তখনই ওই ফেরিতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। যাত্রীদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও ট্রাফিক পুলিশের সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে সীমিত আকারে তিন থেকে চারটি ফেরি জরুরি ভিত্তিতে আসা যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। সকাল আটটায় কুঞ্জলতা ও সাড়ে আটটায় কুমিল্লা নামের দুটি ছোট ফেরি শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর শিমুলিয়া থেকেও সকাল আটটায় ফরিদপুর নামের একটি ছোট ফেরি সকাল সাড়ে নয়টায় বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছায়। এতে কমপক্ষে দেড় হাজার যাত্রী ছিলেন। এরপর সোয়া ১১টায় বাংলাবাজার ঘাটে আসে রো রো ফেরি শাহ্ পরান। এ ফেরিতেও প্রায় সাড়ে তিন হাজার যাত্রী ছিলেন।
সরেজমিনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায়, ঘাটে বেশির ভাগ ফেরিই নোঙর করে রাখা। উভয় ঘাট থেকে তিন থেকে চারটি ফেরি চলাচল করছে। চলাচলরত ফেরিগুলোয় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি ছাড়াও ছিল হাজার হাজার যাত্রী। যাত্রীদের মধ্যে করোনা নিয়ে নেই কোনো সচেতনতা। যাত্রীরা একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়ানো। কিছু যাত্রীর মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক। ঘাট এলাকায়ও নেই করোনা নিয়ে কোনো ধরনের সচেতনতা। ফেরিতে যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্র করে ভেঙে ভেঙে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। এতে যাত্রীদের দ্বিগুণের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।
ঘরমুখী যাত্রীরা জানান, মাহিন্দ্র ও অটোরিকশায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে বরিশাল পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৮০০ টাকা। মাহিন্দ্র ও অটোরিকশায় কমপক্ষে আটজন বহন করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলে বরিশাল পর্যন্ত ২ জনের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, খুলনা ২ হাজার ৫০০ টাকা, মাদারীপুরে ৩০০ থেকে ৪০০, ভাঙ্গা ৬০০, ফরিদপুরে ১ হাজার ৫০০ আর গোপালগঞ্জে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
নারায়ণগঞ্জ থেকে খুলনাগামী যাত্রী হেনা বেগম বলেন, ছেলেমেয়ে নিয়া ঘাটে দুই ঘণ্টা বসা ছিলাম। ভিড় ঠেলে ফেরিতে উঠতে গিয়ে আমি পন্টুনে পড়ে যাই। মানুষের চাপ আর পায়ের আঘাতের কষ্ট নিয়েও হাল ছাড়ি নাই। ফেরিতে উঠে পার হইছি। এখন ভাড়া বেশি হলেও ভালোভাবে বাড়ি যাইতে পাড়লে হয়।’ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে আসা বরিশালগামী যাত্রী আলী হাওলাদার বলেন, তীব্র রোদ আর গরমে তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠতে পারেন। এমন কষ্ট জানলে ঢাকা থেকে আসতেন না।
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামিল আহমেদ বলেন, দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ। তবে লাশবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য সকালে দুটি ছোট ফেরি ছাড়া হয়েছে। সেখানে কিছু মোটরসাইকেল ও কিছু যাত্রী ওঠানো হয়। শিমুলিয়া থেকে দুটি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আসে। এ ফেরিতে প্রচুর যাত্রী ছিলেন। ওপার থেকে এত যাত্রী নিয়ে ঘাটে এলে কী করার থাকে?
দুপুর ১২টায় বাংলাবাজার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আশিকুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ৩০টির মতো অ্যাম্বুলেন্স দুটি ফেরিতে তোলা হয়। এ ছাড়া রোগীবাহী কয়েকটি গাড়িও ফেরিতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘাটে দিনের বেলায় ফেরি না চলায় বাংলাবাজার ঘাটের টার্মিনালে ৫৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। ফেরি কর্তৃপক্ষ ফেরি না ছাড়লে যানজট কমবে না। সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিষেবার কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মত উঠে যাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন বাড়ি ছুটছেন। কোনো বাঁধাই মানছেন না। মাওয়া নৌ-পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ জেএম সিরাজুল কবির বলেন, ফেরি বন্ধের নির্দেশনার পরও রোববার প্রচুর যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। ফেরিতে উঠতে না পেরে অনেকে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ইঞ্জিন চালিত ছোট ছোট ট্রলারে করে পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে। এসব ট্রলারে এক থেকে দেড়শ যাত্রী উঠেছিল। ট্রলারের ১২ জন চালককেও আটক করা হয়েছে। লকডাউনে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকার কথা, কিন্তু ঈদ যাত্রায় মানুষের গ্রামে ফেরার তীব্র আকাঙক্ষাকে পুঁজি করে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কৌশলে বিভিন্ন রুটে চলছে দূরপাল্লার বাস।
আবার জেলার বাস এবং বিভিন্ন ছোট যানবাহন, এমনকি পণ্যের ট্রাক বা পিকআপে চড়েও অনেকে ঢাকার দিক থেকে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়ায় আসছেন। পদ্মা পার হয়ে দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় যেতে চান তারা। ঢাকা থেকে দক্ষিণের লঞ্চ বন্ধ থাকায় সেসব পথের যাত্রীরাও নিষেধ না মেনে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি হয়ে বাড়ি যেতে চাইছেন।
মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষায় ঈদে যার যার কর্মস্থলের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। তারপরও লোকজনের ঢল নামছে। তাই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশও কাজ করছে।
রফিক নামে এক যাত্রী যাবেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াতে। তিনি বলেন, গাড়ি চলাচল না করায় বিপদে পড়েছি। সরকারের লকডাউনে আমরা সাধারণ জনগণ বিপদে পড়েছি। ফার্মগেট থেকে বাসে গাবতলী এসেছি। গাবতলী থেকে হেঁটে আমিনবাজার এসেছি। এখান থেকে লেগুনা করে যাব। সারাদেশে দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না বাস মালিক ও শ্রমিকরা। ঈদের ছুটিতে মানুষ বাড়ি ফিরতে চায়, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে রাতে রাস্তায় দূরপাল্লার বাস চালাচ্ছেন শ্রমিকরা। এতে করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস রয়েছে। এতে মোট এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
গত শনিবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায় উভয় লেনে দূরপাল্লার বাসের দীর্ঘ লাইন। তবে উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোতে গাদাগাদি যাত্রী থাকলেও ঢাকামুখি বাসগুলোতে যাত্রী নেই বললেই চলে। এ সময় কথা হয় ঢাকাগামী একতা পরিবহনের চালক সোলায়মান হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বগুড়ায় নামিয়ে দিয়ে আবার খালি বাস নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন। পারলে রাতেই আবার তিনি যাত্রী নিয়ে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা হবেন। তিনি আরো বলেন, টাকা না থাকলে খামু কি। তাই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।
খোকন পরিবহনের চালক আব্দুল মান্নান জানান, যাত্রী নিয়ে তিনিও বগুড়া গিয়েছিলেন। এখন তিনি খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন। রাতে আরেক চালক যাত্রী নিয়ে বগুড়া যাবেন। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত জানান, অনেক বাস ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে জেলা ভিত্তিক গণপরিবহন ছাড়া অন্য জেলার বাসগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল থেকে চলাচল নিয়ন্ত্রণে নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় ওই বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বশেষ ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
এরমধ্যে ঈদ সামনে রেখে মানুষের ঘরে ফেরা ঠেকাতে ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশও দিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হলেও ফেসবুকে এ নির্দেশনার সমালোচনা করছেন অনেকে। দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোও। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঈদের নামাজ শেষে সারাদেশের মালিক ও শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া ঈদের পরে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক: স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড-এর পক্ষে মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক আবরন প্রিন্টার্স, মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24@gmail.com, info@swadeshpratidin.com