মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
মাগফিরাতের প্রথম দিন আজ
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১:১১ পিএম আপডেট: ২৪.০৪.২০২১ ১:১৩ PM
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মাগফিরাতের দশক শুরু আজ। রমজানের একাদশ দিন থেকে শুরু হয় মাগফিরাত লাভের পালা।

পরম রবের প্রতি আত্মসমর্পিত ও আত্মনিবেদিত বান্দার জন্য সর্বাগ্রগণ্য আরাধ্য ঈপ্সিত বিষয় হলো মাগফিরাত। আর মাগফিরাতের পূর্বশর্ত হলো ইবাদত এবং ইবাদতের সারনির্যাস হিসেবে দোয়াকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। মহিমাময় রমজান হলো সেই প্রকৃষ্ট সময়; যখন পবিত্র কোরআন-হাদিস নির্দেশিত পন্থায় পালনকৃত ইবাদতের মাধ্যমে বান্দারা মাগফিরাত তথা মহান প্রভুর ক্ষমাপ্রাপ্ত হওয়ার দুর্লভ সুযোগ লাভ করে থাকেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) রমজান মাসকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ভাগ আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার অবারিত রহমতে সন্তরণ করার। দ্বিতীয় ভাগ করুণাময় খোদা তায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা প্রার্থনার। আর শেষ দশক অগণিত পাপী তাপীদের মাহে রমজানের ওয়াসিলা ও বরকতে জাহান্নাম থেকে মুক্তির। আমরা আজ ২য় দশকের শুরুতে। আল্লাহ্ তায়ালার কাছে নিজেদের পাপ তাপের ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে ইবাদত বন্দেগীরত।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমরা আমাকে ডাক; আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেই। আল কুরআনে আরও বলা হয়েছে আল্লাহ পাকের রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা সেসব নাম ধরে তাকে ডাক। তার কাছে চাও...।

আজ আমরা আল্লাহ পাকের কয়েকটি সুন্দর সুন্দর নামের স্মরণ করব এবং এ দশকে সেসব নামগুলো ধরে তার কাছে পানাহ চাইব, অনুধাবন করব এসব নামের মাহাত্ম্য। এসব নামের মাহাত্ম্য অনুধাবনের মধ্যে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বহু সংশোধনও নিহিত রয়েছে।

আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দুর্বল প্রজাতির মানুষের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য হলো অপরাধ করা, পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়া; আর সেটি প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, ইচ্ছে‌তে বা অনিচ্ছায়, ছোট কিংবা বড় গুনাহর সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা। আর মহান স্রষ্টার অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো বান্দাকে ক্ষমা করা, মাফ করা। তবে এ জন্য বান্দা নিজেকে অনুশোচনায় আচ্ছন্ন করতে হয়, তওবার শর্তাদি পরিপালনের মাধ্যমে পরম রবের কাছে অশ্রুসিক্ত নয়নে স্বীয় মস্তক অবনত করে দিতে হয়। কৃত অপরাধের বিষয়ে লজ্জিত হওয়া, যাবতীয় পাপাচারের জন্য ক্ষমা-প্রার্থনা করা আর ভবিষ্যতে কখনও পাপাচারে লিপ্ত না হওয়ার দীপ্ত অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়াই তওবা কবুলের পূর্বশর্ত। এ প্রক্রিয়ায় সম্পন্নকৃত তওবার মাধ্যমে বান্দাকে নিষ্পাপ-নিস্কলুষ ঘোষণা করা হয়; আত্তায়িবু মিনায্‌যানবি কামাল্লা যান্‌বা লাহু' অর্থাৎ পাপাচার থেকে তওবাকারী মানুষ এমন হয়ে যায় যে, সে আর কোনো পাপই করেনি।

মাগফিরাতের মূল শিক্ষা হলো, আমি আল্লাহর ক্ষমা পাব এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেব। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’ (তিরমিজি শরিফ)। ক্ষমা করে দিলে নিজের মনের বোঝা দূর হয়, মানসিক চাপ কমে যায়, মন হালকা ও পবিত্র হয়। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দয়া, করুণা ও ক্ষমা লাভ করা যায়।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






● সর্বশেষ সংবাদ  
● সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
অনুসরণ করুন
     
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : লুৎফর রহমান হিমেল
প্রকাশক: স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড-এর পক্ষে মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক আবরন প্রিন্টার্স,
মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24@gmail.com, info@swadeshpratidin.com
● স্বদেশ প্রতিদিন   ● বিজ্ঞাপন   ● সার্কুলেশন   ● শর্তাবলি ও নীতিমালা   ● গোপনীয়তা নীতি   ● যোগাযোগ
🔝