মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে ফরিদপুরে রোগীর সংখ্যা, থেমে নেই মৃত্যুও। শুক্রবার ভোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ রাজিব হোসেন (৪০)। তিনি জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম জানান, ফরিদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন মোহাম্মদ রাজিব হোসেন। গত ১৭ মার্চ তার করোনা পজিটিভ হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে মারা যান। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার ভেদামারী গ্রামে।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে গত ৭ মার্চ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০ জন, মারা গেছেন ২১ জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়ে প্রাণহানী ঘটেছে ১৪১ জনের। বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৫১ জন। এর মধ্যে শুধু জেলার সদর উপজেলাতেই রয়েছে ৫ হাজার ৮২৬ জন, আর মারা গেছেন ৯৪ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলায় করোনা আক্রান্তের হার শতকরা ২১.২৬ এবং মত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১০০ রোগী, এছাড়াও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫৭৪ জন করোনা রোগী।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যেককেই নিজ থেকে সচেতন হতে হবে। তবেই এই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভাব হবে।
তিনি জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণে এবং লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য মাঠ প্রশাসনের সকলেই তৎপর রয়েছে। জেলার নয় উপজেলাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ১৫টি টিম করা হয়েছে। তারা প্রতিদিনই মানুষকে ঘরে রাখতে এবং সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশক: স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড-এর পক্ষে মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক আবরন প্রিন্টার্স, মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24@gmail.com, info@swadeshpratidin.com