সৌদি আরব ও কাতার সফরে যাবেন জ্যারেড কুশনার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
|
![]() সৌদি আরব ও কাতার সফরে যাবেন জ্যারেড কুশনার আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে চলতি সপ্তাহেই হোয়াইট হাউজের জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার সৌদি আরব ও কাতার সফর শুরু করবেন। গতকাল শনিবার (২৯ নভেম্বর) একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের। হোয়াইট হাউজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানায়, কুশনার সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে সমুদ্র তীরবর্তী নিয়োম শহরে সিটিতে সাক্ষাত করবেন। এছাড়াও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গেও দেখা করবেন। জ্যারেড কুশনার ও তাঁর প্রতিনিধি দলের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করে আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। জানা যায়, আগামী ২০ জানুয়ারিতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্পর্ক স্থাপন চুক্তিকে আরো এগিয়ে নিতে চান। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের বিশ্বাস, সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কে এগিয়ে আসলে অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোও সম্পর্ক তৈরিতে সাহস পাবে। কিন্তু ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে সৌদি আরব এগিয়ে আসবে বলে মনে হয় না। তাই ইরানের আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিরোধে অন্যান্য আরব রাষ্ট্রকে সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার ইরানের সর্বোচ্চ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদাহ তেহরানে অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে নিহত হন। ফাখরিজাদাহকে ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচির স্থপতি মনে করে ইসরায়েল সরকার ও পশ্চিমাবিশ্ব। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু গোপনে সৌদি আরব সফর করেন এবং নিয়োম সিটিতে বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ছিলেন বলে জানা যায়। এটিকে প্রকাশ্যে ইসরায়েলি নেতার প্রথম সাক্ষাত বলে মনে করা হয়। গত সপ্তাহে জ্যারেদ কুশনার হোয়াইট হাউজে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আহমদ নাসের আল মুহাম্মাদ আল সাবাহের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। কাতারে বিরুদ্ধে আরোপিত উপসাগরীয় চার দেশের অবরোধ তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রের কুয়েতের দীর্ঘ দিন যাবত চেষ্টা করছে। ২০১৭ সালে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)-এর সদস্য রাষ্ট্র সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও আরব আমিরাত সন্ত্রাসের সহযোগিতার অভিযোগ তুলে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে। সূত্র : রয়টার্স
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |