‘বাবার চাপে ১৫ দিনের শিশু সোহানকে হত্যা করে মা’
ছবি : সংগৃহীত
|
![]() সংগৃহীত ছবি সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে চুরি হওয়া ১৫ দিনের শিশু সোহানের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশে। শিশুটিকে কোনো ‘জিন’ চুরি করেনি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিশু সোহান নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর গতকাল ২৭ নভেম্বর, শুক্রবার রাত ১টার দিকে বাড়ির বাথরুমের ট্যাংক থেকে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সদর থানা পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে চুরি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেনকে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে, সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নবজাতকটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে ওসি আসাদুজ্জামান জানান, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার হাওয়ালখালি গ্রামের সোহাগ হোসেন ও ফতেমা দম্পত্তি। তাদের ১৫ দিনের নবজাতক মায়ের পাশ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চুরি হয়ে গেছে বলে প্রচার করা হয়। এর পরপরই তদন্ত কাজ শুরু করে পুলিশ। তদন্তে কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। পরে শিশুটির মা ও বাবার স্বীকারোক্তি মতে, প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন, মূলত শিশুটির বাবার চাপে মা শিশুটিকে হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। হত্যার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শিশুটি জন্মের পর থেকে অসুস্থ। হার্ড ও কিডনিতে সমস্যা। এই শিশুকে রেখে বড় করতে গেলে নিজেরাই অসুবিধায় পড়বেন ভেবে পরিকল্পিতভাবে তারা দুজন মিলে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মায়ের পাশ থেকে নবজাতকটি চুরি হয়ে গেছে বলে প্রচার করেন মা ফাতেমা বেগম। তবে শিশুটিকে জিন নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। কবিরাজ জানায়, শিশুটিকে জিনে নিয়ে গেছে এবং কয়েকদিন পরেই ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। পরে এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন।
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |