প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২২ পিএম
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে অল্প ব্যয় ও শ্রমে প্রয়োজনীয় এই মসলা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা। সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষা মূলক ভাবে কৃষকদের বস্তায় আদা চাষ করতে দেখা যাচ্ছে ।
অল্প ব্যয়ে অধিক লাভের আশায় দিন দিন এই পদ্ধতিতে আদা চাষের পরিধি বাড়ছে। উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের দরগাপাড়া গ্রামের কৃষক মাহমুদুল হাসান জানান, তিনি ২২০টি বস্তায় আদার আবাদ করছেন।
বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভিটায় বস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে বস্তায় মাটি ভরিয়ে তাতে আদার চাষ করেছেন। পাশাপাশি পারিবারিক সবজির চাহিদা মেটাতে বাড়ির সিঁড়ি, ছাদে, বারান্দায়- বেগুন, ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙ্গা, সহ বিভিন্ন সবজির চাষও করছেন।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় এখন অনেকেই তাদের বাড়ির পাশে, বাঁশঝাড়ে, অব্যবহৃত ভিটা বা বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন।
বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে মাহমুদুল বলেন, প্রথমে মাটির সাথে গোবর, বালি ও পরিমান মত কীটনাশক ভালভাবে মিশিয়ে বস্তায় ভরে নিতে হবে। প্রতি বস্তায় ৪ টি করে আদার বীজ বপন করতে হয়। ঠিক মত ফলন হলে প্রতি বস্তা হতে প্রায় ২ কেজি করে আদা পাওয়া যাবে। যার মুল্য প্রতি কেজি ৩০০ টাকা হিসেবে ২২০ টি বস্তা থেকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার আদা পাওয়ার আশা করছেন তিনি। আশানরূপ সাফল্য পেলে তিনি আগামীতে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করবেন বলে জানান।
উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চাষি আমানুল্লা খান, তার পুকুর পাড়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ টি বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এতে আশানরূপ ফল পেলে পরবর্তীতে বানিজ্যিক ভাবে বস্তায় আদা চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
পাঁচবিবি উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নেই কমবেশি আদা চাষ হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ টি বস্তায় আদার চাষ হয়েছে এবার। আদা উৎপাদনে সময় লাগে ১০-১২ মাস। প্রতিটি বস্তা থেকে প্রায় ২ কেজি আদা উৎপাদিত হয়। এতে কৃষকেরা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত আদা বাজারজাত করে অনেক লাভবান হচ্ছেন।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর