প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪, ৪:২৯ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাণহানি ও সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা- বিশেষ করে বিদেশি (সংস্থা), তাদের কাছেও আমরা সহযোগিতা চাই যে ঘটনা যথাযথ সুষ্ঠু তদন্ত এবং যারা দোষী তাদের সাজার ব্যবস্থা (হয়)।’
বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে এরই মধ্যে আমরা জুডিসিয়াল কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কারও দাবির অপেক্ষায় আমি থাকিনি। আগেই জুডিসিয়াল কমিটি করে দিয়ে, আজ আবার আমরা নির্দেশ দিয়েছি আমরা একজন বিচারককে দিয়ে করেছিলাম- সেটা আমি বলেছি আরও দুইজন বিচারককে দিয়ে, আরও দুইজন লোকবল বাড়িয়ে দিয়ে এবং তাদের তদন্তের পরিধি বাড়ানো।’
কোটা সংস্কার দাবিকে কেন্দ্র করে নিজের কোনো ঘাটতি ছিল না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি এখানে আমার কোনো ঘাটতি ছিল না। যারা বসে ছিল আমি বার বার আলোচনা, তাদের দাবি মানা, আর তাদের দাবি মানবো কি যেটা আমি করে দিয়েছি সেটাই তো, এটা তো আমারই করা, ইস্যুটা তো আমারই। আপিল করা হয়েছে আপিলেট ডিভিশনে। তারপর এই যে একটা ঘটনা ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে দেশকে পেছনে টেনে নেওয়ার এই চক্রান্তে যারা জড়িত সেটা আপনাদের খুঁজে বের করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই একাত্তরে যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, তাদের চক্রান্ত বার বার আমাদের দেশকে পিছিয়ে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টের, সবচেয়ে দুঃখের।’
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর