শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
   
ভৈরবে ভাঙা সড়ক জোড়া লাগে না
জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব
প্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ৬:৫৪ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের অধিকাংশ রাস্তার এখন বেহাল দশা। রাস্তায় খানা খন্দক সৃষ্টি হত্তয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি আর কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। এই সকল রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে পথচারীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। রিকশা ও ইজিবাইকে চলতে গিয়ে অনেক সময় ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। অনতি বিলম্বে শহরের বেহাল সড়কের পূর্ণ নির্মাণের দাবী জানান এলাকাবাসী। তবে পৌর মেয়র ইফতেখার হুসেন বেনু শোনালেন আশারবানী, দুই একটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে অচিরেই রাস্তার কাজ শুরু হবে।  

জানা যায়, ১৯৫৯ সালে ভৈরব পৌর সভায় উন্নতি লাভ করে। বর্তমানে এটি প্রথম শ্রেণীর পৌর সভার মর্যাদা লাভ করেছে। তবে রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে পেীর শহরের বিভিন্ন এলাকাবাসীর দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না। ৮নং ওয়ার্ডের রেলওয়ে পাত্তয়ার হাউস থেকে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা, ৭নং ওয়ার্ডের গাছতলা ঘাট থেকে রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ হয়ে দুর্জয় মোড় পর্যন্ত ২ কিঃমিঃ রাস্তা, উপজেলা সামনে থেকে কমলপুর হয়ে নিউটাউনের মোড় পর্যন্ত ২কিঃমিঃ রাস্তা চলাচল অনুপযোগী। ব্যস্ততম এইসব রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরা। কোথাও আবার পুরো অংশ ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, পথচারী সহ রিকশা অটো সিএনজি চালকরাও। খানাখন্দে পড়ে এসব যানবাহনগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। দুষিত পানিতে ছড়াচ্ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগবালাই। নোংড়া পানিতে পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার আশংকায় মসজিদে মুসুল্লিদের নামাজে আসাও অনেকাংশে কমে গেছে অত্র এলাকায়। রাস্তার দুর্ভোগে শিক্ষা প্রতিষ্টানে চলাচল করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।    

মাইক্রোবাস, সিএনজি,অটোরিক্সা বিভাটেক চালক বলেন, বর্তমানে পৌরসভার সবকটি রাস্তাই খানাখন্দে ভরা। অধিকাংশ রাস্তার মাঝ খানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যানবাহন নিয়ে এসকল রাস্তায় চলাচল করতে পারিনা। একটু বৃষ্টি হলেই পানি আর কাদায় একাকার হয়ে যায়। অনেক সময় আমাদের বাহন থেকে যাত্রীসহ বিভিন্ন মালামালও রাস্তায় পড়ে যায়। অসমতল রাস্তায় চলতে গিয়ে আমাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে অনেক সময় আমাদের ঐদিনের রোজী রোজগারও বন্ধ হয়ে যায়। 

এলাকাবাসি আব্দুর রহিম, আফসার উদ্দিন, আমীর হোসেনসহ অনেকেই বলেন, আমাদের ভৈরবের রাস্তাগুলো কোন উন্নয়ন হয়নি। আমাদের দুর্ভোগের সীমা নেই। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে হাটাচলা যায়না। বৃষ্টি আর ড্রেনের পানিতে এক হয়ে গিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢুকে যায়। নোংড়া পানিতে অনেক সময় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাইও দেখা দেয়।

ফার্মেন্সি মালিক আফসার হোসেন বলেন, পাশেই রয়েছে একটি সরকারি হাসপাতাল। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এ রাস্তা দিয়ে বিুভিন্ন যানবাহনে করে চিকিৎসা নিতে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা দিয়ে যানবাহনে করে হাসপাতালে যাবার সময় রোগীরা আরো অশুস্থ হয়ে পড়ে।

কয়েকজন মুসুল্লি জানান, বৃষ্টি এলে এ রাস্তাগুলো ভিষম কর্দমাক্ত হয়ে যায়। তখন আমরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাবার সময় দুষিত পানিতে আমাদের পবিত্রতা নষ্ট হয়। আমরা চাই ভৈরব শহরের সবকটি রাস্তাই যেন পৌরকর্তৃপক্ষ সংস্কার করে পৌরবাসির দুর্ভোগ লাগব করে।   

পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু’র সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে ১২ কোটি টাকার রাস্তা ও ট্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্য্যাদেশ দেত্তয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রবল বর্ষণের কারণে রাস্তা খানা খন্দক হয়ে নষ্ট হচ্ছে।তাই বর্ষার দুটি মাস কোন ভাবে চালিয়ে নতুন প্রজেক্ট ইউ,আই,জিপির অধিনে সব রাস্তারই কাজ করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর দ্রুত পুণণিমাণ করে মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এগেিয় আসবে পৌর কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা ভৈরববাসীর।

স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






● সর্বশেষ সংবাদ  
● সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
অনুসরণ করুন
     
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী
স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড -এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক আবরণ প্রিন্টার্স,
মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24@gmail.com, info@swadeshpratidin.com
● স্বদেশ প্রতিদিন   ● বিজ্ঞাপন   ● সার্কুলেশন   ● শর্তাবলি ও নীতিমালা   ● গোপনীয়তা নীতি   ● যোগাযোগ
🔝