আগামী ১৭ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শো-এর উদ্বোধন করবেন। রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত ইনফরমেশন ডেসিমিনেশন প্রোগাম এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেন, এ আয়োজন দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান অ্যাকোয়াকালচার ও সি ফুড খাতকে এগিয়ে নিতে সম্মিলিত অগ্রযাত্রার মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ আয়োজন অংশীজনের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মৎস্য খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে নানা দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে এক ভাষণে বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি ইনশাল্লাহ, এই দিন আমাদের থাকবে না। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিক-নির্দেশনায় সময়োপযোগী নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে মোট মাছের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ একদিন প্রথম স্থানে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে আমাদের ৮৫ লাখ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যা অর্জনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
২০৩০ সালের মধ্যে অ্যাকোয়াকালচার ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদনের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।
তিন দিনব্যপি এ আয়োজনে অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড সম্পর্কিত বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ আয়োজনে ৩৫টি দেশের ১০০টি স্টল থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), মৎস্য অধিদপ্তর, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া লিমিটেড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড এর আয়োজন করছে। এ আয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েশন সহযোগিতা করছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসেডর/হাইকমিশনার ও বিদেশি মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর