নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় নির্মাণাধীন সরকারি তিনটি প্রকল্পে ব্যবহৃত হবে বসুন্ধরা সিমেন্ট। এ লক্ষ্যে কোম্পানি দুটি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের সিমেন্ট খাতের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে.এম জাহিদ উদ্দিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে আব্দুল মোনেম গ্রুপের পক্ষে স্বাক্ষর করেন গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম-কো-অর্ডিনেশান) লে. কর্নেল (অব.) মো. আলমগীর কবির।
এবসময় উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ এস এম মঈনুদ্দিন মোনেম ও জেনারেল ম্যানেজার (এইচ আর অ্যান্ড এডমিন) মোহাম্মদ মিজান সরওয়ার।
প্রকল্প তিনটি হচ্ছে, সাসেক-২, উইকেয়ার এবং এসটিআরআইপি প্রকল্প। সরকারি এসব প্রকল্প নির্মাণে ৩ লক্ষ টনের বেশি সিমেন্ট সরবরাহ করবে বসুন্ধরা সিমেন্ট। ফ্যাক্টরি, উৎপাদন ক্ষমতা, সরবরাহ ব্যবস্থা, ও সর্বোপরি গুণগত মানের নিশ্চয়তা যাচাই সাপেক্ষে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ এস এম মঈনুদ্দিন মোনেম বলেন, বসুন্ধরার মতো একটি কোয়ালিটিফুল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। পদ্মা সেতুর মত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বসুন্ধরার সিমেন্ট ব্যবহার হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় কাজে লাগাতে পারে। দেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা দেশের মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে।
সড়ক অবকাঠামো খাতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সাসেক-২। এ প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হচ্ছে। উইকেয়ার হচ্ছে, ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর ফেজ-১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (এন-৭)। এসটিআরআইপি হচ্ছে, তামাবিল থেকে সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্প তিনটির নির্মাণ কাজ করছে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যমুনা রেল ব্রিজ, পদ্মা রেল লিঙ্ক, লেবুখালি ব্রিজ, মেট্রোরেল, ফাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য প্রকল্পে বসুন্ধরা সিমেন্টের উল্লেখযোগ্য ব্যবহার এবং বাংলাদেশের অবকাঠামোগত নির্মাণে বসুন্ধরা সিমেন্টের ব্যবহার রয়েছে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর